Showing posts with label বাংলা. Show all posts
Showing posts with label বাংলা. Show all posts

Thursday, June 27, 2024

জাতীয় ফুল শাপলা/ আমার প্রিয় ফুল।

ভূমিকাঃ শাপলা আবহমান গ্রাম বাংলার অতি পরিচিত একটি জলজ ফুল। শাপলা আমার খুব প্রিয় ফুল। শাপলা ফুল তার শান্ত-সৌন্দর্য আর নির্মলতা দিয়ে সবার মনকে মুগ্ধ করে। প্রকৃতি-নির্ভর বাঙালি জনজীবনের সর্বত্রই শাপলা চিরচেনা একটি ফুল। তাই শাপলা বাংলাদেশের জাতীয় ফুল। শাপলা জলজ ভূমিতে প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য নিয়ে যেন এক ঝাঁক তারার মতো বিরাজ করে। এর সৌন্দর্য দেখে চোখ যেন ফেরানো যায় না। 
পরিচয়ঃ এটি এক প্রকার জলজ ফুল। আমাদের দেশে তিন রকমের শাপলা ফুল জন্মে থাকে-সাদা, লাল ও নীল। তবে সাদা শাপলা ফুলই দেশব্যাপী বেশি দেখা যায়। এজন্য সাদা শাপলাকেই আমাদের জাতীয় ফুল হিসাবে গণ্য করা হয়েছে। 
বিবরণঃ শাপলা ফুল পানিতে ফোটে। পানিতেই এর জন্ম এবং পানিতেই এর বৃদ্ধি হয়। গ্রামবাংলার ডোবা, নালা, খাল, বিল, পুকুর, দীঘি ইত্যাদিতে শাপলা ফুল জন্মে। শাপলা ফুলের রং সাদা, লাল ও নীল। তবে সাদা শাপলা ফুলই বেশি দেখা যায়। শাপলা ফুলের অনেক পাপড়ি থাকে। পানির নিচে মাটিতে এর শিকড় থাকে। কিন্তু ফুল ফোটে পানির উপরে। শাপলার কাণ্ড লতার মতো। শাপলা ফুলের গোড়ায় গোলআলুর মতো শালুক হয়। শাপলার ডাঁটা ও পাতা পানির উপরে থাকে। এই ডাঁটাতেই শাপলা ফুল ফোটে। শাপলা ফুল থেকে ঢ্যাপ নামক একটি গোলাকার ফল ধরে। ঢ্যাপ পাকলে বীজগুলো পানিতে ভাসতে থাকে। এই বীজ থেকেই শাপলা ফুলের জন্ম হয়। আবার শালুক বা মরে যাওয়া গাছের মূল থেকেও শাপলার জন্ম হয়।
বৈশিষ্ট্যঃ পদ্ম জাতীয় এ শাপলা ফুল আমাদের সহজ-সরল জাতীয় জীবনের প্রতীক। পানিরাশির গতিময়তার সঙ্গে আমাদের প্রবাহমান জীবনধারার যে মিল আছে তারই সঙ্গে একাত্ম হয়ে আছে শুভ্র সুন্দর শাপলার হাস্যময় গতিছন্দ। আমাদের টাকায় ও পোস্টকার্ড-ইনভেলাপে প্রস্ফুটিত শাপলার ছাপ তার প্রমাণ বহন করে।
প্রাপ্তিস্থানঃ শাপলা ফুল শরৎ ও বর্ষাকালে ফোটে। প্রকৃতির নিয়মে মাঠের জলাশয়ে, বিলে, ঝিলে, হাওড়ে-বাঁওড়ে, নর্দমায়, পুকুরে এবং দীঘিতে শাপলা ফুল ফোটে। শাপলা ফুলের বীজ থেকে চারা বের হয়। ধীরে ধীরে সেই চারা বড় হয় এবং ফুল ফোটে ও ফল ধরে।
কেন জাতীয় ফুলঃ শাপলা চিরন্তন গ্রামবাংলার শুভ্রতার প্রতীক। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ১৯৭২ সালের সংবিধানে শাপলাকে জাতীয় ফুলের মর্যাদা দিয়েছে। শাপলা যেমন পরিচিত ফুল তেমনি এর সৌন্দর্যও মোহনীয়। শাপলা আমাদের দেশজ ফুল। সাদা শাপলা যেন বাঙালির সহজ সরল শুভ্র মনের প্রতীক। বাঙালির এই সাবলীল সরলতার বৈশিষ্ট্য যেন এ ফুলটির মধ্য দিয়ে প্রকাশ পায়। তাই শাপলাকে জাতীয় ফুল বলা হয়।
উপকারিতাঃ শরৎকালে সৌন্দর্যের এক প্রধান উপকরণ এ শাপলা ফুল। এ যেন রূপময়ী শরৎরানীর অঙ্গের সেরা অলঙ্কার। তাই কবির ভাষায় বলতে পারি ‘বাংলার রূপ আমি দেখিয়াছি- তাই পৃথিবীর রূপ খুঁজিতে যাই না আর।’ শাপলার ডাঁটা আমাদের খাদ্য। শাপলা ফল থেকে তৈরি হয় খই। গ্রামের ছেলেমেয়েরা তা পরম আনন্দে খায়।
অপকারিতাঃ শাপলা অনাদরে যেখানে সেখানে জন্মায়। কাউকে কষ্ট করে শাপলা চাষ করতে হয় না। শাপলা আমাদের পানিবেষ্টিত ধানক্ষেতেও জন্মায়। ফলে ধানের চারা বাড়তে পারে না। কৃষকরা তখন বাধ্য হয়ে শাপলা তুলে ফেলে।
উপসংহারঃ বাংলাদেশে শাপলার মতো সম্মান কোনো ফুল পায়নি। নদীর প্রবাহের মতো, শ্যামল øিগ্ধ প্রকৃতির মতো, ভালোবাসার সুগন্ধির মতো এ শাপলা আমাদের জীবনাদর্শের প্রতীক হয়ে আছে। প্রকৃতিতে পরম অবহেলায় জন্মগ্রহণ করেও শাপলা ফুল সবার প্রিয়, শাপলা আমাদের জাতীয় ফুল, আমাদের রাষ্ট্রীয় প্রতীক। শাপলা ফুল বাঙালি জাতির প্রাণের প্রতীক। তাই কবির ভাষায় বলা যায়-
                                                       “বাংলাদেশের বিলে ঝিলে
                                                         শাপলা রানী হাসে খেলে।” 

                                                                                                                 সংগৃহীতঃ যুগান্তর পত্রিকা 

Saturday, June 22, 2024

বার্ষিক পরীক্ষার পর প্রিয় বন্ধুকে গ্রামে বেড়াতে আসার আমন্ত্রণ জানিয়ে পত্র।

দিরাই,সুনামগঞ্জ।
তারিখ ০১-০১-২০২৪

প্রিয় সৃজন,
পত্রের প্রথমেই আমার আন্তরিক ভালোবাসা নিও। আমার পরীক্ষা শেষ হয়েছে আজ দুই দিন হলো। আগামীকাল তোমার পরীক্ষাও শেষ হয়ে যাবে। বার্ষিক পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর তোমার, আমাদের বাড়িতে আসার কথা। তাই পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরের দিন তুমি তোমার বড় ভাইকে নিয়ে আমাদের বাড়ি চলে আসবে। আমাদের এলাকায় বড় মেলা অনুষ্ঠিত হবে। তুমি এলে খুব মজা হবে এবং খুব ভালো লাগবে। আমাদের গ্রামের এ মেলায় অনেক মানুষের সমাগম হয়। তুমি এলে আমরা দুইজনে মিলে মেলায় ঘুরবো এবং অনেক গল্প করব।
আর বিশেষ কিছু লিখছি না, সাক্ষাতে কথা হবে। তোমার বাবা মাকে প্রণাম জানিয়ে শেষ করলাম।
ইতি
তোমার প্রিয় বন্ধু
রবিন হুড।